আম খেতে সতর্কতা জরুরি।

গ্রীষ্ম মানেই আমের মৌসুম। সুগন্ধি ও রসালো এই ফল খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, আম খেলেই হবে না—জানতে হবে কতটুকু খাওয়া যাবে, কখন খাওয়া উচিত, আর কারা সাবধানে খাবেন।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ আম
খোসা ও আঁটি ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ক্যালরি থাকে প্রায় ৬৫–৭৫, শর্করা ১৭ গ্রাম, ভিটামিন-এ প্রায় ২২০০ মাইক্রোগ্রাম, লৌহ ১.৫ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম ও পটাশিয়াম ১০০ মিলিগ্রাম। ভাতের তুলনায় আমে ক্যালরি কম হলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি।
কী পরিমাণ আম খাবেন?
-
সকালের নাশতায় যদি কেউ ৭০ গ্রাম রুটি, একটি ডিম ও এক বাটি সবজি খান, তাহলে এর পরিবর্তে তিনি ২৫০–৩০০ গ্রাম আম (পাল্প)—অর্থাৎ দুই-তিনটি মাঝারি আকারের আম খেতে পারেন।
-
তবে এর সঙ্গে আর কোনো শর্করাজাতীয় খাবার (রুটি, ভাত, মুড়ি) খাওয়া যাবে না।
-
বিকেলের পর আম না খাওয়াই ভালো।
-
আম জুস না করে কেটে, ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ পরামর্শ
-
হৃদ্রোগী ও কিডনির রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আম খাবেন না।
-
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিরা আম খেলে অন্য শর্করা কমিয়ে খেতে হবে।
-
শিশুদের বয়স ও ওজন অনুযায়ী পরিমিত আম দিতে হবে—পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
ভুল ধারণা এড়ান
অনেকেই মনে করেন খালি পেটে আম খাওয়া গ্যাস্ট্রিক বাড়ায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এটা ভুল। বরং মধ্য সকাল বা বিকেলের নাশতায় পরিমিত আম খাওয়া যায়।
সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন
আম পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া, ভুল সময়ে খাওয়া বা ভাত-রুটির সঙ্গে মেশানো—এসবই রক্তে চিনি ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই “আম খেতে হবে বুঝে, পরিমাণ মেনে”—এটাই হচ্ছে স্বাস্থ্যসচেতনদের মূলমন্ত্র।