গরমে কাঁঠালের স্বাদ
কিন্তু খেতে হবে বুঝে শুনে।

গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের রাজত্ব। আমের পরই তালিকায় আসে আরেকটি মজার ফল—কাঁঠাল। দেশের জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত এই রসালো ফলটি কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কাঁঠাল খেতে হবে পরিমিতভাবে ও সঠিক নিয়মে, নইলে হজমে সমস্যা বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
কাঁঠালের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে প্রায় ৯৫–১০০ ক্যালরি থাকে। এতে রয়েছে—
-
শর্করা: ২৩–২৫ গ্রাম
-
প্রোটিন: ১.৫–২ গ্রাম
-
ফাইবার: ১.৫ গ্রাম
-
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং বিটা ক্যারোটিন
-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি
ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি হজমে সহায়তা করে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কাঁঠাল খাওয়ার সময় যা মনে রাখবেন
-
কাঁঠাল খাওয়া উচিত মধ্য সকাল বা বিকেলে, খালি পেটে নয়।
-
একসঙ্গে ভাত বা রুটি খেয়ে কাঁঠাল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
-
যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তারা খুব সীমিত পরিমাণে কাঁঠাল খাবেন এবং দিনে অন্যান্য শর্করা কমিয়ে খাবেন।
-
কাঁঠাল গরম জাতীয় ফল। তাই অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা অম্বল হতে পারে।
-
কাঁঠাল খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পানি না খাওয়াই ভালো, বিশেষ করে ঠান্ডা পানি।
কারা সাবধান হবেন
-
ডায়াবেটিস, স্থূলতা, কিডনি ও লিভারের জটিলতায় ভোগা ব্যক্তিদের কাঁঠাল খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
-
শিশুদের ক্ষেত্রে কাঁঠালের বীজ বা আঁশে যেন শ্বাসনালি বন্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিশেষ পরামর্শ
কাঁঠালের বীজেও আছে পুষ্টিগুণ—প্রোটিন ও আয়রনে ভরপুর। সিদ্ধ করে খাওয়া যায় কাঁঠালের বিচি। তবে অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে।