হেডিংলিতে বুমরার তাণ্ডবে ভারতের ক্ষীণ লিড।

ইংল্যান্ডের হেডিংলি টেস্টে যশপ্রীত বুমরার দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৬ রানের স্বল্প লিড পেয়েছে ভারত। তৃতীয় দিনের শেষ দিকে ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান জশ টাংকে বোল্ড করে ইনিংসের ইতি টানেন বুমরা। ওই ডেলিভারির প্রশংসা করে ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা বলছেন, সেটি ছিল “খেলা অসম্ভব” ধরনের এক নিখুঁত ইনসুইং।

এই ইনিংসে ২৪.৪ ওভারে মাত্র ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। এটি বিদেশের মাটিতে তাঁর ১২তম পাঁচ উইকেট শিকার, যেখানে তাঁর পাশে আছেন কেবল কিংবদন্তি কপিল দেব। অনিল কুম্বলে আছেন তিন নম্বরে (১০ বার)। বুমরার ইকোনমি রেট ছিল ৩.৩৬। তুলনামূলকভাবে জাদেজা ২৩ ওভারে মাত্র ৬৮ রান দিয়ে কৃপণতা দেখালেও উইকেটের খাতা খুলতে পারেননি।

ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ১০০.৪ ওভারে ৪৬৫ রান তোলে। ভারতের অন্যান্য বোলারদের মধ্যে প্রসিধ কৃষ্ণা নেন তিন উইকেট, যদিও ৬.৪০ ইকোনমিতে দিয়েছেন ১২৮ রান। সিরাজ নিয়েছেন দুটি উইকেট, দিয়েছেন ১২২ রান (ইকোনমি ৪.৫১)।

তবে ইংল্যান্ড ইনিংসে ভারতের ফিল্ডিং ভোগান্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। ইংলিশ ব্যাটাররা ইনিংসজুড়ে মোট পাঁচটি ‘জীবন’ পান। ওলি পোপ ৬২ রানে বেঁচে গিয়ে সেঞ্চুরি করেন (১০৬), বেন ডাকেট ১৫ রানে জীবন পেয়ে করেন ৬২, আর হ্যারি ব্রুক পেয়ে যান তিনটি জীবন—যার একটি বুমরার ‘নো বল’। ব্রুক শেষ পর্যন্ত ৯৯ রানে ফিরলেও ভারতের জন্য এটি ছিল ব্যর্থ সুযোগের প্রতিচ্ছবি।

ব্রুক ইনিংসের মধ্যভাগে অধিনায়ক স্টোকস (৫১ রানের জুটি), জেমি স্মিথ (৭৩ রানের জুটি), এবং ক্রিস ওকসের (৪৯ রানের জুটি) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন। তবে শতকের দোরগোড়ায় এসে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। ওকস পরে কার্সকে নিয়ে বাজবলের স্টাইলে মাত্র ৪৪ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন।

ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ছিল সাবলীল। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ২ উইকেট হারিয়ে তারা তুলে নেয় ৯০ রান। এখন পর্যন্ত ভারত মোট ৯৬ রানে এগিয়ে রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker