খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের জন্য তৈরি হচ্ছে ৭ ফুট ৩ ইঞ্চির চেয়ার

চেয়ারটি তৈরি করছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা জয়নাল আবেদীন। জয়নাল উখিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। চেয়ারটির নির্মাণ চলছে তার তত্ত্বাবধানে, যেখানে একই সঙ্গে আরও তিনটি আড়াই ফুট উচ্চতার চেয়ার বানানো হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের জন্য।
থাইংখালী বাজারের একটি আসবাব কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, কারিগরেরা নিখুঁত হাতে চেয়ার তৈরি করছেন। বড় চেয়ারটিতে ব্যবহার হয়েছে ১৮ ফুট সেগুন কাঠ। প্রতি ফুট কাঠের দাম ৫,০০০ টাকা ধরা হলে শুধু কাঠেই খরচ পড়েছে ৯০ হাজার টাকা। গণমাধ্যমকে এই কারিগররা জানান, পুরো চেয়ারে কারুকাজসহ মোট খরচ দাঁড়াবে চার লাখ টাকার বেশি। প্রতিটি ছোট চেয়ারের খরচ আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সাতজন কারিগর কাজ করেছেন এবং চট্টগ্রাম থেকে আসা তিনজন দক্ষ কারিগর কারুকাজে ব্যস্ত। নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ছয় মাস এবং সামনে রয়েছে রঙের কাজ।
গণমাধ্যমকে জয়নাল বলেন, “তখন আমি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলাম। সিদ্ধান্ত নিই আমার নেত্রী ও দলের আরও প্রিয় তিন নেতাকে নিজ হাতে বানানো চেয়ার উপহার দেব। ২০১৮ সালে দোকান বন্ধ হলেও সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম।”
তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে তিনি ধীরে ধীরে কাঠ সংগ্রহ শুরু করেন এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করেন। এখন কাজ শেষ পর্যায়ে, এবং আগামী আগস্ট মাসে তিনি চেয়ারগুলো ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠাতে চান।
খালেদা জিয়া যদি এই উপহার গ্রহণ না করেন, তাহলে কী করবেন—এই প্রশ্নের উত্তরে জয়নাল বলেন, “তখন তো ফেরত নিয়ে আসা ছাড়া উপায় থাকবে না। তবে এই চেয়ার কখনো বিক্রি করবো না। নিজের ঘরেই রেখে দেব।”
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে ১২টি মিথ্যা মামলা হয়েছিল এবং কারাভোগ করতে হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, “জয়নাল একজন ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা। শাসকগোষ্ঠীর সময় বহু মামলার শিকার হয়েছেন। এই চেয়ারগুলো তার ভালোবাসার প্রকাশ, নেত্রী ও নেতাদের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও অনুরাগ থেকেই এটি করছেন।”