গ্রীষ্মে ত্বকের যত্ন।

গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্রতার কারণে ত্বকের নানা সমস্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাম, ছত্রাক ও জীবাণুর সংক্রমণ থেকে শুরু করে চুলকানি, র্যাশ, এমনকি সংক্রামক রোগ পর্যন্ত—গরমে ত্বকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে সঠিক সচেতনতা ও প্রাথমিক চিকিৎসা থাকলে বেশিরভাগ সমস্যারই সমাধান সম্ভব।
ঢাকার প্রখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. লায়লা আফরোজ জানান, গ্রীষ্মকালে ঘর্মগ্রন্থি অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে ঘাম ও তৈল নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
গ্রীষ্মে যেসব ত্বকের সমস্যা বেশি হয়:
-
ঘামাচি: অতিরিক্ত ঘামে ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ হয়ে ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়।
-
ছত্রাক সংক্রমণ (দাদ): কোমর, বগল, পায়ের ভাঁজে ঘামে ছত্রাক বাড়ে, প্রচণ্ড চুলকায়।
-
ঘামের দুর্গন্ধ: বগল, কুঁচকি ও কোমরের ভাঁজে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় জীবাণুর সংস্পর্শে।
-
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ: শিশুদের নাক-মুখে ঘা ও ফুসকুড়ির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়।
-
ফলিকুলাইটিস: লোমকূপে সংক্রমণ হয়ে পুঁজযুক্ত ফোঁড়া দেখা দেয়।
-
খোসপাঁচড়া: অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই রোগে ফুসকুড়ি ও তীব্র চুলকানি হয়, রাতে বাড়ে।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ:
-
নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন।
-
ভেজা কাপড় পরে থাকবেন না, পোশাক পরিষ্কার রাখুন।
-
ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করুন।
-
খোসপাঁচড়ায় পরিবারের সকলের চিকিৎসা জরুরি।
-
ঘামাচি হলে বেশি গরমে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং তুলতুলে পোশাক পরুন।
চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক সময় রোগীরা দেরিতে চিকিৎসা শুরু করায় সংক্রমণ জটিল আকার নেয়। তাই গরমে ত্বকে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।