সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৫৩ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ।
বিজিবির হস্তক্ষেপে আটক

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আজ বুধবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশু ও পুরুষসহ অন্তত ৫৩ বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে। এদের আটক করে বিজিবি। আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশই বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন বলে বিজিবির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
বিজিবির তথ্যমতে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্তে বাংলাদেশ অভ্যন্তরের বাটরাই এলাকা থেকে ৭টি পরিবারের মোট ১৯ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৯ নারী ও ৫ শিশু রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই নিজেদের নড়াইল, কুষ্টিয়া ও খুলনার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর রাংপানি সীমান্ত এলাকা থেকে আরও ১৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ পুরুষ, ৮ নারী ও ৩ শিশু। এই দলটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জেলা—যশোর, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, সিলেট, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও বরিশালের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
সিলেটের ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, “প্রাথমিক যাচাইয়ে জানা গেছে, আটককৃতরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা অতীতে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকুট সীমান্ত দিয়ে আজ সকালে আরও ২১ জনকে বিএসএফ বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কর্মকর্তারা। এই দলে রয়েছে ৪ পুরুষ, ১৫ নারী ও ২ শিশু। তাঁদের বাড়ি সিলেট, যশোর, নড়াইল ও সাতক্ষীরায়।
আটক ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে হস্তান্তর করে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।
সীমান্তপথে এই ধরনের ঘটনায় মানবিক ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত বিশ্লেষকেরা। এ নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও যোগাযোগ কাঠামোতেও প্রশ্ন উঠেছে।