‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধি চান না অধ্যাপক ইউনূস, সরকারও অনিচ্ছুক
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন। একইসঙ্গে সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদানের পরিকল্পনা করছে না। সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে জারি হওয়া রুলের পর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার বিষয়ে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রুলের আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক জবাব দেবে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দিতে চায় না। আবেদনকারী নিজ উদ্যোগেই এ রিট করেছেন বলে মনে হচ্ছে। কিসের ভিত্তিতে এ ধরনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, তাও পরিষ্কার নয়।”
এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর সক্রিয় থাকবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ইউনূস চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। হাইকোর্টে এক আবেদনকারীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানতে চায়, কেন তাঁকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হবে না।
এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সরকারের এই বিবৃতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিতর্কের প্রতি একটি নিরপেক্ষ ও পরিস্কার বার্তা পৌঁছাল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।