“বরিশালে যে শান্তি পাই, তা আর কোথাও পাই না”—সাফা কবির

বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর আত্মিক টানে মুগ্ধ হয়ে নতুন নাটকের শুটিং শেষ করলেন পরিচালক সুব্রত কুমার সঞ্জীব। শুটিং হয়েছে পুরোটাই বরিশালে, যেখানে অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান ও সাফা কবির। নাটকের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে এর নির্মাণ আয়োজন, লোকেশন আর দলগত সম্পৃক্ততা ইতিমধ্যে দারুণ আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।
পুরো ইউনিটের বেশির ভাগ সদস্যই বরিশালের, পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পী ও টেকনিক্যাল টিম পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা মুশফিক আর ফারহান ও সাফা কবির—দুজনেরই পৈতৃক শিকড় বরিশালে। এমন অভিজ্ঞতায় সাফার মন্তব্য, “নাটকে অংশ নেওয়া নয়, যেন নিজের শেকড়ে ফিরে আসা।”
পরিচালক সুব্রত কুমার সঞ্জীব জানালেন, বরিশালের লঞ্চঘাট, তালতলী, শায়েস্তাবাদ, দুর্গাসাগর ও গুঠিয়া মসজিদের আশপাশে হয়েছে নাটকটির দৃশ্যধারণ। দর্শক যেন নাটক নয়, একেবারে সিনেমার আবহ পাবেন।
সাফা কবির স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাঁর দাদাবাড়ি গৌরনদীতে, আর মায়ের বাড়ি বরিশাল সদরে। ছোটবেলায় প্রায় প্রতি ঈদে বরিশাল যেতেন। সেই দিনগুলো আজও মনের গহিনে দোলা দেয়। এখন সেখানে আত্মীয়স্বজন না থাকলেও বরিশালের টান কমেনি।
ঢাকায় ফিরে সাফা তাঁর অনুভূতি জানিয়েছেন ফেসবুকেও। লেখেন, “প্রতিবার বরিশালে গেলেই একটা গভীর, অজানা টান অনুভব করি। মনে হয় আত্মার একটা অংশ এই জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বরিশালে যে শান্তি আমি পাই, তা আর কোথাও পাই না।”
এই অভিজ্ঞতাকে তিনি বর্ণনা করেছেন “মনভরানো সফর” হিসেবে। শুটিংয়ের পাশাপাশি কাদামাখা রাস্তা, নদী, বৃষ্টির পর মাটির গন্ধ, ডাব, নারকেল ও মিষ্টি গুড়—সব মিলিয়ে বরিশাল যেন তাঁর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে আরও একবার।
পরিচালক সুব্রত কুমার সঞ্জীব এর আগে ৪২টি নাটক নির্মাণ করেছেন, সবগুলোই বরিশালে। তাঁর কথায়, “এই জায়গা আমার গল্পের ভান্ডার। এখানকার সংস্কৃতি, দৃশ্যপট—সবকিছু আমাকে নাড়া দেয়। তাই আমি এখানেই থাকতে চাই, এখানেই কাজ করতে চাই।”
তাঁর মতে, বরিশাল শুধু লোকেশন নয়, বরং একটি অনুভব, এক ধরনের আত্মিক সংযোগ—যেটি তাঁর প্রতিটি নির্মাণে প্রতিফলিত হয়।
বরিশাল হয়ে উঠেছে একটি নাট্যজগতের প্রাণকেন্দ্র—যেখানে কাজ আর শিকড় একসূত্রে গাঁথা।