যেভাবে জোড়া লাগাবেন ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক

নিজেদের সম্পর্ক ব্যক্তিগত রাখুন
যতক্ষণ না পুরনো ভুল, অভিমান কিংবা দূরত্ব পুরোপুরি কাটিয়ে উঠেছেন—ততক্ষণ সম্পর্কের পুনর্জন্মের বিষয়টি নিজেদের মধ্যেই রাখুন।
পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা আশপাশের মানুষ অনেক সময় অজান্তেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেন। তাই একে অপরকে সময় দিন, স্থিতিশীল হন, তারপরই অন্যদের জানান।
পুরনো ভুলে না ফিরুন
যেই অভ্যাস বা আচরণ সম্পর্ক ভাঙার কারণ হয়েছিল, তা যেন আর ফিরে না আসে। ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট নয়, নিজেকে শুধরে নেওয়াটাই আসল।
আপনি যদি বারবার একই ভুল করেন, তবে সম্পর্ক আবার ভেঙে পড়বে—এটা অবশ্যম্ভাবী।
দুইজনের মধ্যে নতুন করে কিছু গড়ে তোলার জন্য প্রথমেই সম্পর্কের কোনো ‘ট্যাগ’ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গার্লফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড, স্বামী, স্ত্রী—এসব পরিচয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বন্ধুত্ব। আগে বন্ধুত্বকে মজবুত করুন, একে অপরকে সময় দিন। ধীরে ধীরে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা ফিরবে।
বোঝাপড়া গড়ে তুলুন
অনেক সময় একে অপরের ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও ঠিকঠাক বোঝাপড়া তৈরি হয় না। তাই ফের সম্পর্ক শুরু করতে চাইলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিন—আপনি কী চান এবং সঙ্গীর কাছ থেকে আপনার কী প্রত্যাশা। একইভাবে তার কথাও মন দিয়ে শুনুন। পরিষ্কার যোগাযোগই হতে পারে নতুন সম্পর্কের ভিত্তি।
বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে সাবধান
যতক্ষণ না সম্পর্ক ঠিকভাবে দাঁড়িয়ে যায়, ততক্ষণ বাইরে কারও মতামত বা পরামর্শ নেওয়ার দরকার নেই। কাছের মানুষরাও অনেক সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করতে পারেন। অনেকে আবার ইচ্ছা করেও আপনাদের পুনর্মিলন ব্যর্থ করতে চাইতে পারেন। তাই নিজেদের সমস্যা নিজেরাই মেটান, সম্পর্ক স্থির হলে তবেই তা অন্যদের জানানোই ভালো।
ভাঙা সম্পর্ক ঠিক করা সময়সাপেক্ষ কিন্তু অসম্ভব নয়। দরকার কেবল বোঝাপড়া, ধৈর্য আর আন্তরিক চেষ্টা। নতুন করে শুরু করার ইচ্ছা থাকলে, সেই সম্পর্ক আগের থেকেও গভীর হতে পারে।