এবার শেহবাজ শরিফ সরকারের পতন ঘটতে যাচ্ছে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের বর্তমান সরকার যেহেতু একটি জোট সরকার এবং এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় ফলে জারদারিকে পদচ্যুত করা হলে সরকার ভেঙে যেতে পারে। কারণ, জারদারি পিপিপির কোটা থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এবং দলটি সরকারে গুরুত্বপূর্ণ শরিক। ফলে জারদারিকে সরালে পিপিপি জোট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, যা সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
এদিকে ইসলামাবাদ এবং পিপিপির পক্ষ থেকেও প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত করার বিষয়ে খবরগুলোকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পিপিপি সেক্রেটারি জেনারেল নৈয়্যার হুসেন বুখারি মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পদচ্যুতি নিয়ে ছড়ানো গুজবকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, পিপিপির সমর্থন ছাড়া সরকার পরিচালনা সম্ভব নয়।
বুখারি বলেন, ‘পিপিপির সহযোগিতা ছাড়া সরকার চলতে পারে না। প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে ছড়ানো গুজবের কোনো ভিত্তি নেই।’
এই প্রসঙ্গে বুখারি বলেন, ‘যারা প্রেসিডেন্ট জারদারিকে সরানো নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন, তারা সংবিধান ও আইন সম্পর্কে অজ্ঞ।’ তিনি আরও স্পষ্ট করেন, পিপিপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছে না। বুখারির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছেন পিএমএল-এন-এর সিনেটর ইরফান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, জারদারিকে সরানোর কোনো প্রস্তাব কোনো পর্যায়ে বিবেচনায় নেই। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে জারদারি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করছেন। মিডিয়ার একাংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাচ্ছে।
সূত্র : জিও নিউজ